টঙ্গীতে মিত্রিবাড়ি মহা-শ্মশানের প্রাচীর ভাংচুর ও হুমকি’র অভিযোগ
বি এ রায়হান, গাজীপুর:
টঙ্গীর আউচপাড়া মিত্রি বাড়ি মহা-শ্মশানের উন্নয়ন কাজে বাঁধা এবং প্রাচীর ভাংচুরসহ কাজে যোগদানকারীদের বিভিন্ন ধরণেন হুমকি দিয়েছে হাজী মোঃ কাইয়ূমসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় গত শনিবার দুপুরে মহা-শ্মশানের সাধারণ সম্পাদক পুলক চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় হাজী মোঃ কাইয়ূমসহ অজ্ঞাত ৯/১০ জনকে বিবাদী করে সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
মহা-শ্মশানের সাধারণ সম্পাদক পুলক চন্দ্র মন্ডল জানান, টঙ্গীতে বসবাসরত সনাতন (হিন্দু) সম্প্রদায়ের জন্য মহা- শ্বশান নির্মানে বাবু বিরেন্দ্র কুমার মিত্রি ও অমূল্য কুমার মিত্রি ৮৯ শতক জমি দান করে যান। দীর্ঘদিন জমিটি বে-দখলে থাকার পর সম্প্রতি জমিটি উদ্ধার হয়। পরে জমিটিতে নির্মিত মিত্রিবাড়ি মহা-শ্মশানে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে মহা-শ্মশানের নিরাপত্তা রক্ষার্থে উন্নয়নমূখী সংস্কার ও মন্দিরের চারপাশে প্রাচীর নির্মানের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা হাজী মোঃ কাইয়ূম মন্দিরের ওই জায়গাটির মধ্যে ১৩ শতক জমি তার পৈত্রিক বলে দাবী করে দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি নিজেসহ তার সহযোগীদের ধর্মীয় উক্ত প্রতিষ্ঠানের জায়গাটি দখলের পায়তারা করে আসছেন। গত ২০ ফেব্রয়ারী শনিবার দুপুরে মন্দিরের সেবায়েত বাবু সুনিল চন্দ্র সরকারের উপস্থিতে মিত্রি বাড়ি মহা-শ্মশানে নির্মান কাজ চলছিলো। এসময় হাজী মোঃ কাইয়ূমের নেতৃত্বে কতিপয় কয়েকজন মিলে মন্দিরের কাজে বাধা এবং সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করেন। এসময় তারা নির্মান শ্রমিকদের কাজে না আসতে ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে বাধা দেওয়ায় মিত্রিবাড়ি এলাকায় উভয় সমাজের মধ্যে উত্তেজনা ও আতষ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পরপর আইন-শৃংখলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ কেন্দ্রিয় ও জেলা পূঁজা উদ্যাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়েরী হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।